মাঠা বা ঘোল হচ্ছে পুরান ঢাকার একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি হচ্ছে এক প্রকার পানীয়। নিয়মিত মাঠা পান করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যায়। রমজান মাসে ইফতারিতে ঠান্ডা এক গ্লাস মাঠা পান করলে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। সেই সাথে শরীর ও মনের সজীবতা ফিরে আসে।
মাঠায় ব্যবহৃত টক দই ও চিনির সিরা এর স্বাদকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। স্বাদ ও গুণের জন্য মাঠার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পুরান ঢাকায় এই মাঠার চাহিদা ব্যাপক। পুরান ঢাকার মাঠা সুস্বাদু হওয়ায় এর প্রচলন এখন সারা দেশেই ঘটেছে। কিন্তু এক সময় এটি শুধু পুরান ঢাকায় জনপ্রিয় ছিল।
প্রায় ১০০ বছর আগের ঢাকায় প্রতিদিন সকালে মাঠা বিক্রি করা হতো। এই মাঠা তৈরি করা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকেই তৈরি করা ঝামেলা করেন। অথচ মজাদার ও স্বাস্থ্যকর এই মাঠা অল্প সময়ে বাড়িতেই বানানো সম্ভব। চলুন, তাহলে জেনে নেয়া যাক কীভাবে এই ঐতিহ্যবাহী মাঠা বা ঘোল তৈরি করবেন।
পড়তে পারেন: তুরস্কের জনপ্রিয় শরবত আয়রান তৈরির রেসিপি জেনে নিন
মাঠা তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ :
- টক দই : ২ কাপ
- লেবুর রস : ১.৫০ টেবিল চামচ
- চিনির সিরা : ৪ টেবিল চামচ
- বিট লবণ : ১ চা চামচ
- লবণ : ৩/৪ থেকে ১ চা চামচ বা স্বাদমতো
- ঠান্ডা পানি : ১ কাপ বা প্রয়োজনমতো
- বরফ কুচি : ১ কাপ
পড়তে পারেন: বাদশাহি স্বাদে বাদাম শরবত বানানোর রেসিপি জেনে নিন
যেভাবে মাঠা বা ঘোল রেসিপি বানাবেন –
মাঠা বা ঘোল তৈরির জন্য, প্রথমে একটি বড় বাটিতে ২ কাপ টক দই নিন। যদি টক দই ঘন হয় তাহলে এর সাথে ১/২ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এরপর এরমধ্যে লবণ ৩/৪ থেকে ১ চা চামচ, বিট লবণ ১ চা চামচ, চিনির সিরা ৪ টেবিল চামচ, ও ১.৫০ টেবিল চামচ লেবুর রস দিন।
এবার এই সবগুলো উপাদানকে ডাল ঘুটনি দিয়ে ভালোভাবে ফ্যাটিয়ে নিন। এরপর এরমধ্যে ১ কাপ বরফ কুচি ও ১ কাপ ঠান্ডা পানি দিয়ে আবারও ভালোভাবে ফ্যাটিয়ে নিন। এখানে চিনি নিজের পছন্দমতো কম বেশি করা যাবে। মাঠার ঘনত্ব পাতলা করতে হলে ঠান্ডা পানি অথবা বরফ কুচি মিশিয়ে নিন।
এবার পরিবেশনের জন্য, গ্লাসকে কিছুটা বরফ কুচি দিয়ে তার উপরে ঠান্ডা মাঠা ঢালুন। মাঠা ঢালার সময় একটু উপর থেকে ঢালুন। এতে দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে তেমনে খেতে ও সুস্বাদু লাগবে। এবার গ্লাসে স্ট্র দিয়ে পরিবারের সবার সাথে উপভোগ করুন।